কালীঘাটে বস্তা ভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার কান্ডে তৃণমূলের দিকে তোপ বিজেপি নেতার

25th January 2021 10:16 pm বর্ধমান
কালীঘাটে বস্তা ভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার কান্ডে তৃণমূলের দিকে তোপ বিজেপি নেতার


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আদি গঙ্গার পাড় থেকে বস্তা ভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধারের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা ।  সোমবার বিকালে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার  কেঁউটা গ্রামে অনুষ্ঠিত বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে রাহুল সিনহা এই দাবি করেন। এই প্রসঙ্গে রাহুল বাবু আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর  বাড়ির পাশে আদি গঙ্গার পাড় থেকে বস্তা ভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধারের ঘটনার সাথে কালো টাকার কাহিনী যুক্ত আছে । ইডি , সিবিআই, না অন্য কোন ভয়ে , কারা ওই টাকা পোড়ালো তার তদন্ত হওয়া দরকার । রাহুল সিনহা দাবি করেন  ওই এলাকার লোকের তো এত টাকা নেই । ওই এলাকার লোকেদের সবারই তো টালির চালার বাড়ি । ওখানেতো একটাই রাজবাড়ি । সেটা ভাইপোর বাড়ি । নিরপেক্ষ এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করলেই সব খোলসা হয়েযাবে বলে রাহুল সিনহা এদিন  মন্তব্য করেন । নেতাজির জন্মদিবসের দিন কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে হওয়া সরকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে যাওয়ার সময়ে ’জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া  হয় । এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের কড়া কথা শুনিয়ে বক্তব্য না রেখে মঞ্চ থেকে নেমে যান । প্রাধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া সরকারী অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম ’ ধ্বনি কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল সিনহা বলেন, মমতার জন্য ওই নেতাজি অপমানিত হয়েছেন । উনি সুকৌশলে ওই দিনকার মঞ্চ রাজনৈতিক মঞ্চ রাজণৈতিক মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করেছেন । যার ষড়যন্ত্রকারী মমতা নিজেই । রাজনৈতিক  অভিসন্ধি পুরণের জন্য মমতা ওই দিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চটিকে কাজে লাগিয়ে ছিলেন ।  রাহুল সিনহা দাবি করেন, এইসব অভিসন্ধি কাজে লাগবে না । কারণ দুর্গা মাতা ও শ্রী রামচন্দ্রের অভিশাপে তৃণমূল ইতিমধ্যেই ছাড়খাড় হয়ে গিয়েছে । এবার নেতাজির অভিশাপও উপর থেকে তৃণমূলের উপরে পড়বে । তৃণমূলের বিনাশ হবেই । আর কয়েকদিন বাদ মমতা এবং তাঁর ভাইপো অভিষেকের সন্ন্যাস ছাড়া ,রাম নাম ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।  “ যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ এদিন মেমারিতে দলের কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার জন্যই  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সরকারী অনুষ্ঠানে ’জয় শ্রীরাম ধ্বনি ’ দিয়েছে বিজেপির লোকজন ।  এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে বিজেপির  লোকজন শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই অপমান করেনি , নেতাজিকেও অপমান করেছে । ” ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের  ঘটনা প্রসঙ্গ নিয়ে  রাহুল সিনহা মুখ্যমন্ত্রী কে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন নি । তিনি বলেন ,“ ’দিদির ‘ইনশা আল্লা’ শ্লোগানে আদত রয়েছে । সেই দিদি কি ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে খুশি হতে পারেন।  ‘জয় শ্রীরামে’  দিদির এত নারাজ হবার কি বা আছে ।‘ জয় শ্রীরামে ’  দিদি যত নারাজ হবেন ততই ‘জয় শ্রীরামের’ পপুলারিটি বাড়বে । এখন গ্রামের বাচ্চা ছেলেরাও ‘জয় শ্রীরাম ’  বলছে । রাহুল বাবু দাবি করেন, ‘জয় শ্রীরাম ’ এখন জনতার শ্লোগান হয়ে গিয়েছে । দিদি যত বিরক্ত হবেন ‘জয় শ্রীরাম’  ধ্বনি ততই উঠবে । ‘জয় শ্রীরামের’ কেরামতিও ততই বাড়বে বলে রাহুল সিনহা মন্তব্য করেছেন ।”   রাহুল সিনহা জনসভা মঞ্চ থেকে ঘোষনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাকিস্তানি। তাই তিনি ‘মেটিয়াবুরুজকে’ মিনি পাকিস্তান বলেছেন।আর চার মাস পর আমরা সরকারে আসলে ‘মিনি পাকিস্তান নয় ,আশল পাকিস্তানে ওকে (ফিরহাদকে ) পাঠাবো ’ বলে  হুঁশিয়ারি দেনন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
পাশাপাশি রাহুল সিনহা বলেন, পিকে ও ভাইপোর অত্যাচারে দলে দলে তৃণমূল নেতা কর্মীরা বিজেপিতে আসছে।সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে রাজ্যে কোড অফ কণ্ডাক্ট চালু হয়ে গেলে পুলিশকে দিয়ে আর মিথ্যা মামলা দেওয়া যাবে না ।  তখনই দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেডে পড়ে থাকবে শুধু পিসি আর ভাইপো ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।